রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ গান্ধী জয়ন্তীর প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বার্তায় বলেছেন, ‘আমাদের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে আমার প্রিয় দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।
প্রতি বছর দোশরা অক্টোবর গান্ধীজি জন্মজয়ন্তী শুধুমাত্র ভারতেই স্মরণ করা হয়না, সারা বিশ্বজুড়ে গান্ধীজির জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। তিনি সমস্ত মানবতার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে রয়ে গেছেন। তাঁর জীবন কাহিনী সমাজের দুর্বল শ্রেণীর মানুষকে শক্তি এবং ক্ষমতা জোগায়। তাঁর সত্য, অহিংসা এবং ভালবাসার বার্তা সমাজে সম্প্রীতি ও সাম্যের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে, যা বিশ্ব কল্যাণের পথ প্রশস্ত করে। তাঁর মূল্যবোধগুলি আগের মতোই প্রাসঙ্গিক এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে।
সাধারণ মানুষ এখন বুঝতে পেরেছেন যে গান্ধীজির মত অনুসারে সমস্যার সর্বাধিক সমাধানে সার্থকতা ও সহনশীলতার পথই অনুসন্ধান করা যেতে পারে। এই পথে চলার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হল গান্ধীজির নিজের জীবন। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন যে যারা আমাদের শুভাকাঙ্খী নয় তাদের সঙ্গেও আমাদের ভালো ব্যবহার করা উচিত এবং সবার প্রতি ভালোবাসা, দয়া ও ক্ষমাশীল অনুভুতি প্রয়োজন। আমাদের চিন্তা-ভাবনা, কথা এবং কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা উচিত।
গান্ধীজি তাঁর প্রচেষ্টায় নৈতিকতা, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং উপায়গুলির ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আমি খুব আনন্দিত যে গান্ধীজির চিন্তা-ভাবনা এবং শিক্ষা আমাদের দেশের উন্নয়নে যেমন- স্বচ্ছ ভারত মিশন, মহিলাদের স্বশক্তিকরণ, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়ণ, কৃষকদের সাহায্য এবং গ্রামে গ্রামে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
গান্ধী জয়ন্তীর এই শুভ অনুষ্ঠানে আসুন আমরা সত্য ও অহিংসার মন্ত্রকে অনুসরণ করে নিজেদেরকে জাতির কল্যাণ ও অগ্রগতিতে নিয়োজিত করি এবং এক স্বচ্ছ, দক্ষ, শক্তিশালী-সমৃদ্ধশালী ভারত গড়ে তুলি ও গান্ধীজির স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি।’