বিবাহ বিচ্ছিন্না মেয়েদের পারিবারিক পেনশন পাওয়ার জন্য এসংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করা হয়েছে । এখন থেকে কোন মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হয়ে থাকলেও যদি তিনি তার পেনশনভোগী বা কর্মরত পিতা- মাতা জীবদ্দশাতেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করে থাকেন তবে সেই প্রয়াত অভিভাবকের পেনশন হিসেবে তিনি পারিবারিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন।
পেনশন ও পেনশনার্স কল্যাণ দফতর, কেন্দ্রীয় উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কর্মীবর্গ, গণ অভিযোগ, আণবিক শক্তি, মহাকাশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং আজ পেনশন সম্পর্কে আনা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পর্কে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা জানান। তিনি বলেন পূর্বে পেনশন ভোগী পিতা- মাতা বা স্ত্রী’র জীবদ্দশায় কন্যার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে তবে সেই কন্যা পারিবারিক পেনশনের অধিকারী হতেন।এখন এই নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে কেবলমাত্র পেনশনভোগী ব্যক্তিদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যই বয়ে আনবে না, একই সঙ্গে সমাজে বিবাহবিচ্ছিন্না কন্যাদের জন্য সম্মান ও ন্যায়সঙ্গত অধিকারও নিশ্চিত করবে।
পিতামাতার মৃত্যুর পরে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র তৈরি করা হলেও অভিভাবকের মৃত্যুর আগে যদি এই প্রতিবন্ধকতার ঘটনা ঘটে থাকে, এমনকী কোনও দিব্যাঙ্গ শিশু বা ভাইবোন থাকলেও এই পারিবারিক পেনশনের অধিকারী হবে। এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। দিব্যাঙ্গ পেনশনভোগীদের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য অ্যাটেন্ডেন্ট ভাতা প্রতি মাসে ৪৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৭০০ টাকা করা হয়েছে বলেও শ্রী সিং জানান।
ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, পেনশন বিভাগের অন্যতম উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হল ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র প্রদান। অবসর গ্রহণের পরে তাদের সন্তানদের নিয়ে বিদেশে বসবাসকারী প্রবীণ নাগরিকদের যে অসুবিধা রয়েছে সে দিকে লক্ষ্য রেখে তিনি বলেন, বিদেশে বসবাসকারীদের জন্য জীবন শংসাপত্র সম্পর্কিত বিষয়ে নির্দেশিকা এবং পারিবারিক পেনশন শুরুর বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিদেশে থাকা শাখা এবং ভারতীয় দূতাবাস / কনস্যুলেট / হাই কমিশনে জীবন শংসাপত্র প্রদান করলে সেখান থেকে পারিবারিক পেনশন শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, যে সকল পেনশনভোগী জীবন শংসাপত্র প্রদানের জন্য ব্যাঙ্কে যেতে পারছেন না, তাদের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।