প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুমোদন করেছে :
• বিশ্ব ব্যাঙ্কের ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা সহায়তায় স্ট্রেংদেনিং টিচিং-লার্নিং অ্যান্ড রেজাল্ট ফর স্টেট বা স্টারস্ কর্মসূচির রূপায়ণ। এই কর্মসূচি রূপায়ণে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।
• স্টারস্ কর্মসূচিটি বিদ্যালয় শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা দপ্তরের আওতায় নতুন একটি কেন্দ্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত উদ্যোগে রূপায়িত হবে।
• বিদ্যালয় শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা দপ্তরের অধীনে নিরপেক্ষ ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে জাতীয় মূল্যায়ন কেন্দ্র ‘পরখ’ স্থাপন করা হবে।
স্টারস্ কর্মসূচিটি হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ কেরল ও ওডিশা – এই ৬টি রাজ্যে রূপায়িত হবে। এই ৬টি রাজ্যকে শিক্ষার মানোন্নয়নে সবরকম সহায়তা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির পাশাপাশি, আরও ৫টি রাজ্যে (গুজরাট, তামিলনাডু, উত্তরাখন্ড, ঝাড়খন্ড ও আসাম) এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের তহবিল সহযোগিতায় একই ধরনের আরও একটি কর্মসূচি রূপায়ণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলি একে-অপরের সঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে লব্ধ অভিজ্ঞতা ও সেরা পন্থা-পদ্ধতিগুলি আদান-প্রদান করবে।
স্টারস্ কর্মসূচিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় সরাসরি উন্নয়নের পাশাপাশি, শ্রম বাজারের দক্ষতার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় রণকৌশল গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি, স্টারস্ কর্মসূচিটি ২০২০-র জাতীয় শিক্ষা নীতির উদ্দেশ্যগুলির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কার্যকর করা হবে।
এই কর্মসূচিতে সুনির্দিষ্ট রাজ্যগুলিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয় বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থায় নজরদারি ও তার গুণমান নিরূপণের ওপর সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
স্টারস্ কর্মসূচির ২টি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হ’ল – জাতীয় স্তরে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে :
• ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার মান, এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে স্থানান্তর এবং সমগ্র অধ্যয়ন পর্ব শেষ সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য সংগ্রহে শিক্ষা মন্ত্রকের জাতীয় তথ্য ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করা।
• রাজ্য-ভিত্তিক অনুদান উৎসাহ প্রদান করে রাজ্যস্তরীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সংস্কারে উৎসাহিত করে রাজ্যগুলির পিজিআই স্কোর বা প্রাপ্ত নম্বর আরও বাড়াতে শিক্ষা মন্ত্রককে সাহায্য করা।
• শিক্ষণ মূল্যায়ন ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণে সাহায্য করা।
• জাতীয় স্তরে পরখ মূল্যায়ন কেন্দ্র স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রককে সাহায্য করা প্রভৃতি।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হ’ল রাজ্যস্তরে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি কার্যকর করা :
• প্রাক্-শৈশব শিক্ষা ও প্রথাগত শিক্ষণ ব্যবস্থার সুদৃঢ়করণ।
• শিক্ষণ মূল্যায়ন ব্যবস্থার মানোন্নয়ন।
• শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সার্বিক দক্ষতা বাড়িয়ে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষণ ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করা।
• শিক্ষা প্রদান পরিষেবার মানোন্নয়নে প্রশাসনিক ও বিকেন্দ্রিকীত ব্যবস্থা গ্রহণ।
• বিদ্যালয়গুলিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার মানোন্নয়ন, যাতে বিদ্যালয় শিক্ষার বাইরে থাকা শিশুদের শিক্ষার মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনে তাদের কর্মজীবন গড়ে তুলতে সঠিক দিশা দেখানো যায় এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া সম্ভব হয়।
স্টারস্ কর্মসূচিতে পিএম ই-বিদ্যা উদ্যোগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে, প্রাক্-শৈশব শিক্ষাদান ব্যবস্থায় প্রথাগত শিক্ষাকে সামিল করা, যাতে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাই আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।